মোঃ সাইফুল ইসলাম মাসুম >>
করুণ কান্নার রোদনে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ফিলিস্তিনি শিশু আয়েশা। স্বৈরাচারী, অত্যাচারী ইসরাইল প্রশাসন সে মৃত্যুর ব্যবস্হা করে দিয়েছে। ইসরাইল প্রশাসন শিশুটির বাবা মা কে আটকে রেখেছিল। শিশুটির মৃত্যুর পূর্বে তার কাছে আসতে দেয়নি তার জন্মদাতা- জন্মদাত্রী বাবা মাকে। কত বড় নির্মমতা! কত বড় নৃশংসতা। আধুনিক এ যুগে কতটা প্রতিহিংসার শিকার ছোট্র এ শিশুটিও। একটি শিশুও বাদ যাচ্ছে না প্রতিহিংসার দাবানল থেকে। বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছ ইসরায়েল। পাষণ্ড, বর্বর, মুসলিম বিদ্বেষী, মানবতার কলঙ্ক, ইতিহাসের ঘৃনিত এ ভুখন্ডের জনপ্রশাসন রাষ্ট্রীয় প্রশাসন অত্যাচার ও বর্বরতার অসংখ্য নজির রেখেছেন দুনিয়া জুড়ে, এটা তার মধ্যে অন্যতম।
শিশুটির নাম আয়েশা। ছোট্ট একটি শিশু। শিশুটিরর ব্রেন সার্জারি। ফিলিস্তনের জেরুসালেমের হাসপাতালে বসে মা-বাবাকে বারবার ডাকছিল আর অঝোরে কাঁদছিল ছোট্ট শিশু আয়েশা। নির্বাক কেঁদেই চলেছিল সে। কিন্তু ইসরায়েল প্রশাসন নির্মমভাবে আটকে রাখে তার বাবা মাকে৷ শত চেষ্টা করেও মৃত্যুপথযাত্রী কলিজার টুকরা সন্তানের কাছে অঅসতে পারেনি আয়েশর মা-বাবার। শেষ দেখাটি আর দেখা হলোনা। আর আসা হলো না প্রিয় সন্তানের ম্রীয়মান মুখখানি দেখতে। কেমন করে এ ধাক্কা সইতে হলো সে মা বাবা কে। বিশ্ববিবেক মরে গেছে। শেষমেশ কাঁদতে কাঁদতে, বুকের গগনবিদারী আর্তনাদের করুন স্বর স্বেচ্ছায় ছোট করে নিষ্ঠুর এই বসুন্ধরার মায়া ছেড়ে কঠিন একাকীত্বের ধাক্কা সামলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েল ফিলিস্তিনী শিশুল আয়েশা আ-লুলু।
আরো পড়তে পারেন….
বৈশাখ নিয়ে সাইফুল ইসলাম মাসুম এর দুটি কবিতা
সাইফুল ইসলাম মাসুমের কলাম- এমনি করে আর কত?
আর ছোট্ট আয়েশার মা-বাবা তাকে দেখতে আসবেই বা কীভাবে? স্বৈরশাসক, নিপীড়ক ইসরাইলের কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনি মেয়েকে দেখতে আসার সব পথ বন্ধ করে রেখেছিলো।কলিজার টুকরা যক্ষের ধন মা মনি কে দেখতে আসার এসকর্ট পাস অবধি মঞ্জুর করেনি আয়েশার মা-বাবার। ইসরাইলি কর্মকর্তারা পশ্চিম জেরুসালেমের হাসপাতালে আয়েশার দেখভালের জন্য গাজা উপত্যাকার এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অনুমতি দিয়েছিলেন। সেটা গরু মেরে জুতাদানের তুল্য এক নির্মম প্রহসন। ছোট্র শিশু আয়েশার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে হতে এক সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের বেডে শুয়েই ছোট্ট আয়েশা হাসছে। কান্না শুকিয়ে দুঃখের হাসি হাসছে আয়েশা, শেষ বিদায়ের হাসি। মাথায়, হাতে তার ব্যান্ডেজ। নল ঢোকানো রয়েছে শরীরে। ছোট্ট আয়েশার এমনই করুন একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যখন চোখের কোনে পানি ঝড়াচ্ছে, তখনও হাসছে ইসরায়েল,এ নির্মমতায় তাদের কোন ভ্রুক্ষেপও নেই। নেই কোন অনুশোচনা। দুনিয়া জুড়ে তোলপাড় চলছে এটা নিয়ে। সভ্যতার এ চরম উৎকর্ষের যুগে এখনও ফেরাউন, হিটলার মুসোলিনী, নাৎসী বাহিনী পৃথিবী শাসন করছে যাদের কুরুচিপূর্ন নির্মমতার কাছে জিম্মী বিশ্ব মানবতা। এ শিশুটির এহেন করুন মৃত্যুর পর ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে যাতায়াতের জটিল নিয়মকানুন একটু শিথিল করতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন, এটা কিছুটা নাটকীয় ভন্ডামীও বটে। ধিক,শতধিক বর্বর ইসরায়েল কে।