প্রকৃতি

অসাধারণ অনুভূতিপ্রবণ ‘প্রেমিক’ ছিল টিরানোসরাস রেক্স

নরসুন্দা ডটকম   এপ্রিল ১, ২০১৭

।। নরসুন্দা ডটকম।।

জুরাসিক পার্কের পর্দায় তাদের সঙ্গে কম বেশি আলাপ পরিচয় আছে সিনেপ্রেমীদের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং হিংস্র মাংসাশী প্রাণী ছিল তারাই। টিরানোসরাস রেক্স।

নাম শুনলেই পিলে চমকে ওঠে কিছুটা। কিন্তু তারাই নাকি আবার নাম লিখিয়েছে ‘সেরা’ প্রেমিকের দলে! নতুন গবেষণা দাবি করছে এমনটাই।

সম্প্রতি আমেরিকার মন্টানায় খোঁজ মিলেছে টিরানোসরাস রেক্স বা টি রেক্সের নতুন একটি প্রজাতির। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ডাসপ্লেটোরাস হর্নেরি বা ডি হর্নেরি নামে টি রেক্সের এই আদিমতম এই প্রজাতি একদিকে যেমন ছিল হিংস্র, অন্যদিকে তেমনই ছিল অনুভূতিপ্রবণ। ডি হর্নেরি যুগলের প্রেমে বিশেষ ভূমিকা নিত তাদের ‘সেনসিটিভ’ নাক।

শুধু তাই নয়, এই নাক দিয়ে নাকি ডিমের রক্ষণাবেক্ষণ, শাবকদের আদর করা, বাসা বানানোর মতো যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করত তারা। ‘সাইন্টিফিক রিপোর্ট’ নামক জার্নালে গবেষকরা জানাচ্ছেন, মিলনের সময় স্ত্রী-পুরুষ একে অপরের সঙ্গে নাক এবং মুখ ঘষত। এদের মুখের অনুভূতিপ্রবণ ত্বকই মিলনের সময় উদ্দীপনা তৈরি করত।

আজ থেকে প্রায় সাড়ে সাত কোটি বছর আগে পৃথিবীতে রাজত্ব করত ডি হর্নেরি প্রজাতির ডাইনোসররা। এদের জীবাশ্ম থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন হর্নেরি প্রজাতির ডাইনোসররা লম্বায় ছিল প্রায় ২৯.৫ ফুট। তাঁদের দাবি, ডাইনোসরদের সমস্ত প্রজাতির মুখেই মুখোশের মতো চ্যাপ্টা বর্মের আকারের ত্বক থাকে। যা তাদের মূলত চোয়াল এবং নাককে ঘিরে রাখত। সম্প্রতি ডি হর্নেরির ত্বকের রহস্য ভেদ করে গবেষকরা জানাচ্ছেন, এদের মুখ ও নাকের ত্বকে স্নায়ুর পরিমাণ অত্যধিক থাকাই অনুভূতিপ্রবণতার একমাত্র কারণ। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

About the author

নরসুন্দা ডটকম

Leave a Comment