ক্রীড়া ডেস্কঃ বেশ ফুর ফুরে মেজাজে আছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন। আজ বিকেএসপিতে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। লিগের শুরুতে সেঞ্চুরি পেলেও সে পুরনো রোগটা পেয়ে বসেছিল মোহাম্মদ আশরাফুলকে। বেশ কয়েকটা ম্যাচে শূন্য রান। টিম ম্যানেজমেন্ট চেয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুল কে বিশ্রাম দিতে। কিন্তু কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরীকে অনেক অনুরোধ করে ৪ মার্চ বিকেএসপিতে অগ্রনী ব্যাংকের বিপক্ষে খেললেন এবং ১০২ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। আশরাফুল যার পুরো কৃতিত্ব দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
কারণ খেলাঘরের সেই ম্যাচের দিন ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ান ডে অধিনায়ক। আর ছন্দ ফিরে পাবার জন্য কিছু পরমর্শ দিয়েছিলেন আশরাফুলকে। তিনি বলেন খেলোঘরের ম্যাচের দিন ড্রেসিংরুমে মাশরাফি এসেছিল। ওর সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলাম। আমাকে নিয়ে ওর উপলব্ধি হচ্ছে আমি ফিটনেস নিয়ে সেভাবে পরিশ্রম করিনি। এসব কথা শোনার পরই মনে হলো খাওয়া-দাওয়ায় আমার নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।ফিটনেসে উন্নতি করলে স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করা যাবে খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ কঠোর পরিশ্রম এসবই কাজে দিয়েছে। আর যেহেতু জানি খেলাটা কীভাবে খেলতে হয়।
ফিটনেস নিয়ে বাড়তি মনোযোগের পাশাপাশি স্কিল নিয়েও আশরাফুল কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত এ সাফল্যে কৃতজ্ঞতা জানালেন দলের কোট স্টাফদেরও ‘আশিক ভাই, আরিফ মোরশেদ ভাই প্রচুর সহযোগিতা করেছেন। দিনে ৩-৪শ থ্রো ডাউন করেছেন। ভাগ্যও সঙ্গে ছিল। ফতুল্লায় বেশির ভাগ ম্যাচেই রান পেয়েছি। আশরাফুল যে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন এর তিনটিই অবশ্য বিফলে গেছে। দল জিততে পারেনি। তার স্ট্রাইকরেটও (৭৪.০৭) যে খুব আকর্ষনীয় তা বলা যাবে না। আশরাফুল অবশ্য এটি নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না, স্ট্রাইকরেট আরও বাড়বে যখন আমি আরও বেশি ফিট হব।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞায় দীর্ঘদিন ক্রিকেটের দরজা বন্ধ ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটার দার খুলেছে মাত্র। ৩৩ বছর বয়সী আশরাফুলের বিশ্বাস ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেললে হয়তো বন্ধ হয়ে থাকা জাতীয় দলের দরজাটাও একদিন খুলবে। এ আশা এবং স্বপ্ন নিয়েই এত কষ্ট এবং পরিশ্রম করে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সী সেঞ্চুরির রেকর্ড দখলে রাখা বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মাদ আশরাফুল।