সাহিত্য

ড. হুমায়ুন আজাদ: ভাষাবিজ্ঞানী ও প্রথাবিরোধী লেখক

নরসুন্দা ডটকম   মে ১, ২০১৮
ভাষাবিজ্ঞানী

ড. হুমায়ুন আজাদ ছিলেন একজন ভাষাবিজ্ঞানী ও প্রথাবিরোধী লেখক। ১৯৪৭ সালের ২৮শে এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের রাঢ়িখাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার লেখা প্রবন্ধ-কবিতা সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যমান সব প্রথাকে অস্বীকার করেই। প্রবচনগুচ্ছ এ দেশের যুক্তিবাদী পাঠক সমাজকে করে তুলেছে সচেতন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একুশে বইমেলা থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে তার ওপর হামলা করে ধর্মীয়-উগ্রবাদীরা।পরে জার্মানিতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হুমায়ুন আজাদ ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি ১৯৬২ সালে রাড়িখাল স্যার জে সি বোস ইন্সটিটিউশন থেকে পাকিস্তানের মধ্যে ১৮তম স্থান অধিকার করে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় ক্ষেত্রে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন।

ড. হুমায়ুন আজাদ

নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি প্রথম উপন্যাস লেখেন। ১৯৯২ সালে তার প্রবন্ধের বই `নারী` প্রকাশের পর তিনি মৌলবাদীদের তীব্র রোষানলে পড়েন। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অমর একুশে বইমেলা থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে তার উপর হামলা চালানো হয়। ওই বছরই ১১ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

হুমায়ুন আজাদের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- `অলৌকিক ইষ্টিমার`, `লাল নীল দীপাবলি (বাঙলা সাহিত্যের জীবনী)` `জ্বলো চিতাবাঘ`, `শামসুর রাহমান-নিঃসঙ্গ শেরপা`, `বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র`, `বাক্যতত্ত্ব`, `সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে`, `ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না`, `ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল`, `পাক সার জমিন সাদ বাদ`, `আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম` ইত্যাদি।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, অগ্রণী শিশু-সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৬), মার্কেন্টাইল ব্যাংক পুরস্কার (২০০৪) এবং ২০১২ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক দেয়া হয়।

About the author

নরসুন্দা ডটকম