।। ভোর ।।
এক পা দুই পা ক’রে
ক’রে সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে উঠে যাচ্ছে অন্ধকারটা —
রান্নার কড়াইটা থেকে ওঠা বাষ্পের মতোই
অনেকটা !
এবার যে ঘ্রাণটা নাকে আসছে তাতেই বোঝা
যাচ্ছে পাকা রাধুনি তুমি !
থালা বাটি নিয়ে এইতো ছোটা শুরু !
ধুলো মাখা উইন্ড্-স্ক্রিনটা কে যেন এসে মুছে
দিয়ে গেলো —
ভোর হলো গো ———— ভোর
।। ছায়া ।।
ওঠ!
আর কতো ঘুমোবি?
আরে ওঠ, এরপর উঠে আর কিই বা ক’রতে পারবি?
তারপর যখন ছায়াটা আর ওঠেই না, আমি ওই শুয়ে থাকা ছায়াটাকে কলার ধ’রে টানতে টানতে শেষপর্যন্ত তুলে দাঁড় করাই, মধ্যাহ্নের সূর্যটা তখন ঠিক আমার মাথার ওপর, আমি ছায়াটাকে বোঝাই, কলারটা শক্ত ক’রে ধ’রে বারবার জিজ্ঞাসা করি, কবে? কবে আর মানুষ হবি? একি? এ তো অমেরুদন্ডীর মতন ল্যাকপ্যাক ক’রছে ওর শরীর! ওর ভার আমি আর বেশিক্ষণ ধ’রে রাখতে পারি না,
ও প’ড়ে যায়,
ও ঢলে ঢলে প’ড়ে যায়,
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ, লাশের মতন …
।। উদ্ভিদ ।।
তোমাকে নির্লোভ ক’রতে ক’রতে আমার সারাটি জীবন কেটে যায় —
আমি বস্ত্র পরিধান করি,
তুমি বারবার এসে খু’লে দিয়েছো —
আমি শীতল হ’তে চেয়েছি,
তুমি যথারীতি উষ্ণ ক’রেছো —
আমি খোলা আকাশের নীচে থাকতে চেয়েছি,
তুমি ততোবার দেয়ালে ঘিরেছো আমায় —
আর যখন সমস্ত বেদনা সহ্য ক’রেও অন্তিমে
উদ্ভিদ হ’লাম,
তোমার প্রশ্বাসের সবুজ ঠিকানা লিখে দিলাম
সাদা খাতায় —
তুমি সমস্ত জলাশয় শু’ষে নিলে
ধীরে ধীরে —