আমি ইদানিং স্বপ্ন দেখি না। বদলে যাওয়া প্রোফাইল পিকচারের লাভ রিয়্যাক্টও লুকিয়ে রাখি। অপেক্ষা তো একটি ড্রপলেট মাত্র! যে কোনো অসময়ে ছুঁয়ে যেতে পারে।
আপাতত আমাদের মাঝে কোন সাঁকো নেই। আছে শুধু অনন্ত লকডাউন আর লুকোনো টেলিপ্যাথিক সংযোগ! জানি তুমি মাইন্ড গেম কী, তা জানো না। জানতে চেষ্টাও করো না। হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে গেলে, ঠিক কতোটা বাড়তি রক্ত প্রয়োজন হয়? তা জেনে তোমার তো কোনো লাভ নেই।
তবুও অপেক্ষা তো একটি ড্রপলেট মাত্র… লকডাউন উঠলেই ছুঁয়ে ফেলবে সম্ভাবনার প্রতিটি দরজা।
অপেক্ষা কোনো হল্ট স্টেশন নয়। অনন্ত সম্ভাবনার স্বাস্থ্যবতী মরীচিকা ও নয়। অপেক্ষা জাস্ট মেলোডিয়াস রাতে ঝুলে থাকা আধ খাওয়া চাঁদ। যেভাবে পঞ্চম পেগ খাওয়ার পর সমস্ত কার্ফু উঠে যায়। সম্মতির চূড়ান্ত পর্যায়ে দরজা এবং আলো বন্ধ হলে আর কোনো অপেক্ষা থাকে না পাহারায়। একটা আন ওয়ান্টেড সেভেনটি টু অথবা একটা স্মার্ট কার্তুজ সমস্ত অপেক্ষার দি এনড করতে পারে। ঠিক যেমন আম আদমি কে শেষ করে দেবার জন্য একটা ঝকঝকে অ্যামেডমেন্টই যথেষ্ট। তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। মহাকালের গায়ে লেগে থাকা শ্যাওলার মতো জনতার সরকার ঠিক টিকে যাবে। আর জনতা প্লেজারেবল ক্লাইম্যাক্স এর জন্য অপেক্ষা করবে
মধ্যবিত্তের জীবন থেকে অভ্যেস টান মেরে ফেলে দিলে, যেটা পরে থাকে তাকে কী যাপন বলা যায় !মোবাইল ডেটা অন করা এখন অপেক্ষার নতুন নাম। বিশ্রামের পর সমূহের জেগে ওঠা , এও তো যাপনেরই নিজস্ব নিয়ম . . .
স্বপ্নের ঝাঁপি থেকে তুলে আনি বাঁচার রসদ। জানি সত্যি হবে না বলে দিলে। তবু বলে ফেলি ভোরের স্বপ্নের লুকোনো বাস্তবতা . . .
নিজেকে নিজেই পাল্টাতে গিয়ে, আবার অভ্যেসকেই আপন করি। ফ্রয়েডিয় ব্যাখ্যা ছুড়ে ফেলে, স্বপ্ন বিশ্লেষণ করতে করতেই টাইম মেশিনে ঢুকে পড়ি , অপেক্ষার যাপনচিত্র আঁকবো বলে . . .
কবি পরিচিতি :অতনু রায় এর জন্ম ১৯৮৬ সালে, অবিভক্ত বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চলের বীজপুর গ্রামে। বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে বসবাস। পেশায় শিক্ষক আর নেশায় বাংলা ভাষার একজন স্বেচ্ছাসেবক। লেখালিখির চর্চা ছাত্রজীবন থেকেই। পছন্দের লেখার জায়গা কবিতা, অণুগল্প, গল্প এবং প্রবন্ধ ।