গতকাল সারা দেশে যখন রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ পালিত হলো- সেই রাতে আমি ছিলাম ঘুমহীন-রিভোট্রিল পরাজিত।
ভাবছিলাম- আমি সেই শতকে জন্মেছি যে শতকে মানবজাতি একটির পর একটি মুক্তির লড়াই করেছে। রুশ বিপ্লব। ফ্যাসিস্টদের আক্রমণের মুখে স্তালিনগ্রাদ- দাঁত আর নখ দিয়ে লড়াই করে মাতৃভূমিকে আর মানবতাকে রক্ষা করেছিলো লালফৌজ। বলিভিয়ার জংগলের লড়াইকরা চে হয়ে উঠেছিলো তারুন্যের প্রতীক। ভিয়েতনাম, লাতিন আমেরিকা। আলেন্দের মৃত্যুর প্রতিবাদে গান গাইতে গাইতে মরেছিলেন ভিক্তর যারা।
সেই শতকে ফাঁসির মঞ্চে বেঞ্জামিন মালোয়েস হাসছিলেন ক্ষুদিরামের কথা ভেবে।
চারু মজুমদার, কানু সান্যাল, আজিজুল হক লড়েছেন। গত শতকের বাতাশেই নিশ্বাস নিতেন ভ্যানগগ, পিকাসো, বিভুতিভুষন, রবীন্দ্রনাথ, ওস্তাদ বড়ে গোলাম, পিট সিগার, জন বায়েজ, বব ডিলান, গোর্কি। জিমি হেনড্রিকের জীবনের অপচয়টাও সেই সময়েই।
গত শতকেই ম্যান্ডেলা হাঁটছিলেন স্বাধীনতার জন্য। বিনয় বাদল দিনেশের হাতবোমায় কেঁপে উঠেছিলো শহর কোলকাতা। প্রীতিলতার সাহস গত শতকের। কি দৃঢ়তায় জনকের আকাশে উত্তোলিত তর্জণী আমাদের মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত করেছিলো। আহা, কোথায় যেন চার্লস চ্যাপলিন আর সফদর হাশমীর কন্ঠস্বর।
মাথায় ঋত্বিক ঘটক– ‘রাজনীতি জীবনের একটা বিরাটতম অংশ, রাজনীতি ছাড়া কিছুই হয় না, প্রত্যেকেই রাজনীতি করে, যে করে না বলে সে-ও করে। অ্যাপোলিটিক্যাল বলে কোনো
কথা নেই। You are always a partisan, for or against’.
অঞ্জন রায়, সাংবাদিক।( ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া)