প্রকৃতি

বন্যপ্রাণ, ফুড হ্যাবিট আর চোরাচালান- প্রশান্ত শিকদার

নরসুন্দা ডটকম   অক্টোবর ১০, ২০১৬

নরসুন্দা ডটকম ডেস্ক:

জঙ্গল লাগোয়া চা বাগান মহল্লা তখন গভীর ঘুমে। তখনই নিঃশব্দে হানা। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে একের পর এক বাড়িতে চলছিলো তল্লাশি। ভয়ে সিঁটিয়ে চা বাগানের পাহাড়িয়া লাইন। একের পর এক বাড়ি ভেঙে তল্লাশিতে মিলছিলো না কিছুই। শেষ পর্যন্ত একটি বাড়ির দেওয়ালে পড়লো জোর ধাক্কা। ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল মাটির দেওয়াল। বাঁচার জন্য সামান্য প্রতিরোধ গড়তেই বৃদ্ধাকে পিষে মেরে এক চুমুকে সবটা নিঃশেষ করে জঙ্গলে চম্পট।

ঘটনা গত ১০ই সেপ্টেম্বরের। তার আগে পাঁচ বার হামলার মুখোমুখি হয়েছে গোরুমারা জঙ্গল লাগোয়া বড়দিঘি চা বাগানের বাসিন্দারা। ১০ই সেপ্টেম্বরের হামলায় মারা গেছেন এক বৃদ্ধা।

হাতির লোকালয়ে আনাগোনা প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। জঙ্গলে হাতির খাবার নেই এটা ১০০ শতাংশ ঠিক নয়, বলছিলেন গোরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিসনের কনজারভেটর অব ফরেস্ট সুমিতা ঘটক। বললেন, হাতি তো বছরের সব সময় লোকালয়ে আসে না। ড্রাই সিজনে হাতি তো জঙ্গলে থাকে — তখন তো হাতি না খেয়ে থাকে না — জঙ্গলের খাবারই তারা খায়।

তাহলে হাতি কেন বারেবারে জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়ে হানা দিচ্ছে?

গত ছয়-সাত বছরে হাতির খাবারের স্বাদ বদলে গেছে। মাঠের পাকা ধান থেকে দাঁতালের খাদ্যাভ্যাসে ঢুকে পড়েছে পানীয়। লোকালয়ে ঢুকে হাড়িয়া খাওয়ার ধারাবাহিক অভ্যাসের নেশায় এখন দাঁতালের নিত্য আনাগোনা জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়ে। নেশার পানীয়ের জন্য চলে বাড়িতে ভাঙচুর। জঙ্গল সংলগ্ন চা বাগানগুলিতে এই রকম ঘটে। কেননা চা বাগানে নেশা হিসাবে হাড়িয়া খাওয়ার প্রচলন আছে। আরও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ লোকালয়ে এরিয়া বাড়তে বাড়তে জঙ্গলের সীমানায় চলে এসেছে — আর তখনই হাতিরা বাঘ জঙ্গল সংলগ্ন বস্তি বা চা বাগানগুলিতে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। প্রায়ই দেখা যায় গোরুমারা জঙ্গল থেকে হাতি বেরিয়ে চা বাগানে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়ে চলে যাচ্ছে। গত এক মাসে এই বড়দিঘি চা বাগানে ৫বার হাতির তাণ্ডব চলেছে। চা বাগানের আবাসন ভেঙে প্রমাতেলি তালমারিয়াতে এক মহিলাকে মেরে ফেলেছে। এইভাবে হাতির তাণ্ডবে জীবনহানি, শস্যর ক্ষতি, প্রভৃতির কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এই জন্য মাঝে মাঝে বন্যপ্রাণের সঙ্গে মানুষের সংঘাত তৈরি হচ্ছে।

পরিবেশের বন্ধু বন্যপ্রাণের সাথে মানুষের সংঘাত নিয়ে চিন্তিত বন্যপ্রাণপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা ও বনবিভাগের আধিকারিকরা। বিভিন্নভাবে সচেতনতা শিবির ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিপদ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।

উত্তরবঙ্গের জঙ্গলগুলিতে বন্যপ্রাণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুঃশ্চিন্তা আরও বাড়ছে। ডুয়ার্সের জঙ্গলে বিভিন্ন বন্যপ্রাণের মধ্যে হাতি, বাঘ, বাইসন ও গন্ডার-এর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠা আরও বেশি মাত্রায় চলে আসছে।

উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা বাদে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় তিনটি গভীর অরণ্য জাতীয় পার্ক হিসাবে সুপরিচিত। চাপড়ামারী, গোরুমারা ও জলদাপাড়া। এই জঙ্গলগুলিতে হাতির সংখ্যা ২০১০ সালে ছিল ৫২৯— যার মধ্যে কোচবিহার জেলায় হাতির সংখ্যাও আছে। ২০১৪ সালে হাতিসুমারি হিসাবে হাতির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে হয়েছে ৬০০। এর মধ্যে গোরুমারায় ৫২ও জলদাপাড়ায় ২০০। পাহাড়ে রেডপান্ডা আছে যার সংখ্যা ৭৫ থেকে ৮০।

উত্তরবঙ্গে বাইসনের সংখ্যা প্রায় ৩০০০ (তিনহাজার) প্রতি চার বৎসর অন্তর হাতি ও বাঘসুমারির ব্যবস্থা থাকলেও বাইসনের সুমারি হয়নি।

এই হাতি, বাঘ ও বাইসনের আক্রমণে বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গবাদি পশুসহ বাড়ি ঘর, শস্যের হানি, বন্যপ্রাণের সাথে মানুষের সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

হাতির লোকালয়ে আগমন — সাথে সাথে বাঘের আনাগোনা মানুষের সামনে বিপদ। লোকালয়ে বাইসনের আগমন কদাচিৎ দেখা যায়।

জঙ্গল ছেড়ে বাঘ লোকালয়ে আসার কারণ সন্তানপ্রসব করার সময় শান্ত ও ঠাণ্ডা পরিবেশ পছন্দ করে স্ত্রী বাঘ। তাইতো দেখা যায় জঙ্গল সংলগ্ন চা বাগানকে বেছে নেয় এরা— সেখানে নালার মধ্যে স্ত্রীবাঘ বাচ্চা প্রসব করে। মাঝে মাঝে তাই শোনা যায় — চা বাগানের শ্রমিক চা পাতা তুলতে গিয়ে হঠাৎ বাঘের হামলায় আহত হয়েছেন। ২/১টি ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটেছে।

হাতির চলাচলের একটি নির্দিষ্ট করিডর সব জঙ্গল এলাকায় আছে —কিন্তু সেইসব করিডর এখন চা গাছে বসত বাড়িতে, শস্য খেতে রূপান্তরিত হয়েছে — মনে রাখতে হবে, সেই যাতায়াতের পথ নির্বিঘ্ন হওয়া দরকার।

কোনো বাচ্চাহাতি দলছুট হলে তার মা তাকে জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যায় না। বনদপ্তর তখন তাদেরকে নিয়ে আসে মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপদোড়ায় পিলখানায়। সেখানে তাদেরকে লালনপালন করে কুনকি হাতিতে পরিণত করা হয়।

পর্যটকরা এই বন্যপ্রাণ দেখতে আসেন। তাদের মনোরঞ্জনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় সেখানে সচেতনতার কথা সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে তুলে ধরা হয়।

বিভিন্ন জঙ্গলের থেকে হাতি লোকালয়ে যাতে না আসে সেইজন্য জঙ্গল সীমানা এলাকায় বিদ্যুতের বেড়া লাগানো আছে। তাছাড়া আছে বনরক্ষা কমিটি। এই বনরক্ষা কমিটিকে সক্রিয় ও শক্তিশালী করার সেরকম উদ্যোগ সরকারের নেই। একথা অস্বীকার করা যাবে না জঙ্গল ও জঙ্গলপ্রাণকে বনবস্তির লোকের চেয়ে আর কারোর অত ভালো অনুভূতি নেই।

শস্যের খেত নষ্ট করার বিরুদ্ধে কিছু মানুষের বেপরোয়া কার্যকলাপ উদ্বেগের বিষয়। শস্যখেতের চারিপাশে বিদ্যুৎ সংযোগ করে রাখে হাতি এর স্পর্শে এসে মারা গেছে এরকম খবর অনেক আছে।

বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বনদপ্তরের সহযোগিতায় লাগাতার সচেতনতা শিবির করে যাচ্ছে — যাতে মানুষ ও বন্যপ্রাণ সংঘাত বন্ধ করা যায়। হাতির আক্রমণে মৃত্যু হলে দু’লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেলেও সেটাতো ক্ষ‍‌তে সাময়িক প্রলেপ। আবার সংরক্ষিত বন এলাকায় মানুষের যাতয়াত আরো বেশি বিপদ ডেকে আনছে। জী‍‌বিকার স্বার্থে গভীর জঙ্গলে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে অনেক মানুষের এখন আমাদের সার্বিকভাবে ভেবে দেখতে হবে এই মৃত্যু — এই সংঘাত কি করে কমিয়ে ফেলা যায়। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে বন্যপ্রাণের মতো পরিবেশের বন্ধু আর কেউ হয় না। মানুষের স্বার্থে এদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

এই তো গেল বন্যপ্রাণদের অবস্থা। পরিবেশের বন্ধু এই বন্যপ্রাণগুলি কি সুরক্ষিত। নৃশংসভাবে হত্যা করে এদের দেহাংশ দেশ বিদেশের বহু জায়গায় পাচার হয়ে যাচ্ছে। প্রাণীদের দেহাংশর বদলে কোটি কোটি টাকা আয় করছে পাচারকারীদল। সাধারণত পাখি, বাঘের চামড়া, ক্রাউডেড লেপার্ড, রয়াল বেঙ্গল টাইগার, চিতা, বাঘের হাড়, মাথার খুলি, তক্ষক, প‌্যাঙ্গোলিন, রেডস্যান্ড বোরা, হাতির দাঁত, গন্ডারের খড়্গ দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়। কুমিরের দেহাংশও চালান হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আছে বনরুই — এই প্রাণিটির কথা উঠলে অনেক সময় ক্ষুদ্র বলে উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু বিদেশের বাজারে বনরুই-এর প্রচণ্ড চাহিদা। এই বনরুই-এর আঁশ থেকে তৈরি হয় জ্যাকেট, ওষুধ, প্রসাধন সামগ্রী ও ফ্যাশনড্রেস। কুমিরের দেহাবশেষ ৬০ গ্রাম বিক্রি করতে পারলে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

সাধারণত নর্থ গোরুমারা, কাঠামবাড়ি, সরস্বতীপুর বক্স, জলদাপাড়া, আসাম ও অরুণাচল প্রদেশগুলির বিভিন্ন জায়গা থেকে এটা পাচার হয়। গন্ডারের খড়্গ এর বেশি চাহিদা ভুটান ও থাইল্যান্ডে। এই সমস্ত জায়গার বৌদ্ধমন্দিরে এগুলি শোভা পায় শুভেচ্ছার প্রতীক হিসাবে। এগুলি যাচ্ছে বেআইনিভাবে। অপরাধমূলক কাজ হলেও বৌদ্ধ মন্দিরে হানা দেওয়ার সাহস সেই দেশের সরকারের আছে কি?

গন্ডারের খড়্গ থেকে মেডিসিন ও বিভিন্ন রকমের গহনা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে ৭৫০ গ্রাম খড়্গর দাম ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। কোনো কোনো সময় এর দাম ৩ কোটির উপরেও হয়ে যায়।

প্রাণীর দেহাংশের পাচার ও সংগ্রহের প্রধান কেন্দ্র জায়গা। নেপাল ও আসাম থেকে চোরাই পথে বিভিন্ন প্রাণীর দেহাব‍শেষ জায়গায় এসে জড়ো হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন এলাকায় ক্যারিয়ার মাধ্যমে পাচার হয়ে আসল লোকের হাতে চলে যায়। তাছাড়া বক্সা ও ভুটান থেকে হাতিকে হত্যা করে তার দাঁত বাইরে পাচার হচ্ছে। পাচারকারীরা সাধারণত এনএইচ ৩১ রুট ব্যবহার করে। বক্সার জঙ্গল থেকে বেশির ভাগ হাতির দাঁত আসে। আর গন্ডারের খড়্গ বেশি পাওয়া যায় জলদাপাড়া এলাকা থেকে। বিগত ২/১ বৎসরে জলদাপাড়া জঙ্গল এলাকায় বেশ কিছু গন্ডার মেরে ফেলে চোরাশিকারীরা খড়্গ কেটে নিয়ে যায়।

ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গল থেকে হামেশা বাঘ‍‌ মেরে তার চামড়া পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাঘ হত্যা করে তার চামড়া, মাথার খুলি চোখের সামনে বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

এক বছর আগে ২টা কানকাটা গন্ডার মেরে খড়্গ নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। এই দলে ১৫ থেকে ২০জন ছিল। শুকনা অঞ্চলে এই ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছিল। প্রশ্ন জাগে এই ব্যাপারে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। দলের মূল পান্ডা কে? যে ধরা পড়লো তার খবর কী? এসবের কোন উত্তর নেই। সি আই ডি-রও কী ভূমিকা? ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন থাকা সত্ত্বেও এই সমস্ত চোরা কারবার বেড়েই চলছে। এটা ঠেকাতে বনদপ্তরের কোন সক্রিয় ভূমিকা আছে কি? বন্যপ্রাণ আইন, ১৯৭২ কার্যকর হচ্ছে কি? চোরা কারবার কমার চেয়ে বেড়েই চলছে। তাহলে এই আইনের প্রয়োজন কী?

বনদপ্তর কি বসেই আছে— তা নয়, দপ্তরের বেশ কিছু আধিকারিক অসীম সাহস নিয়ে এইসব চোরাকারবারীদের অনেক ক্ষেত্রে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। কোটি কোটি টাকার প্রাণীদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। চোরাকারবারীরা অনেক ক্ষেত্রে ধরা পড়েছে। বনদপ্তরের দেওয়া চার্জশিটে অনেকে জেলে আছে, কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। এক বনদপ্তরের আধিকারিক এই বিষয়ে যা বললেন তাতে আঁতকে উঠতে হয়। কে না আছে এই চোরাকারবারী দলে। প্রভাবশালী নেতা থেকে এমনকি স্কুল শিক্ষক, কলেজের মাস্টারমহাশয়, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারও। টাকার অভাবে এই কাজ করছে তেমনটা নয়, অর্থের প্রাচুর্যে, ভোগবিলাসের জীবন যাপন তাদেরকে এই প‍‌থে টেনে নিয়ে এসেছে। এই চোরাকারবারী দলে আছে ভূমাই সিংয়ের মতো শ্যুটার, কেউ হয়ত মণিপুরের বেস্ট শ্যুটার। ২০১৬ সালে একে বেশি দেখা গেছে।

যে পরিমাণে চোরাশিকারীর সংখ্যা বেড়েছে বনরক্ষীর সংখ্যা সেই অনুপাতে কম। তাছাড়া চোরাশিকারীরা আধুনিক অস্ত্র নিয়ে এই কারবার করে। চোরাশিকারীদের সাথে মোকাবিলা করতে গেলে বনরক্ষীদের হাতে আধুনিক অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। না হলে বনরক্ষীরা চোরাশিকারীদের ঠেকাতে পারবে না।

সাপের বিষের চোরাকারবার আর একটি উল্লেখযোগ্য দিক। এই সাপের বিষ থেকে মেডিসিন, অ্যান্ডি ভ্যাকসিন, নেশার জিনিস প্রভৃতি তৈরি হয়। কাচের জার ভর্তি করে বিদেশে যথা নেপাল, চীন, প্রভৃতি দেশে পাচার হয়।

যে রুট চোরাশিকারীরা ব্যবহার করে তার কেন্দ্রস্থল হলো এনএইচ ৩১। সেখান থেকে নাগরাকাটা (ভুটান বর্ডার) বানারহাট, গোরুবাথান, মালবাজার হয়ে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় চালান হয় জাতীয় সড়ক ছাড়া জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি গাজলডোবা রুট ব্যবহার করা হয়।

এক কর্মঠ বনাধিকারিকের কথায় যে সমস্ত রুট চোরাশিকারীরা ব্যবহার করে সে সমস্ত জায়গায় সশস্ত্র পাহারা দরকার। এব্যাপারে ঢিলেমি চলবে না।

বন্যপ্রাণের দেহাংশ পাচারের প্রবণতা কমাতে হলে বনবস্তির বাসিন্দাদের সক্রিয় করতে হবে। ১৯৯৩-এ গঠিত ফরেস্ট প্রোটেকশন কমিটিকে প্রতিরোধের প্রধান অস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করে তাদের আর্থিক উন্নতি ঘটাতে হবে। বনে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে। এটা না করতে পারলে অর্থের লোভে একটি অংশ চোরাশিকারীদের মদত দিতে পারে। চোরাশিকারীদের প্রতিহত করতে শক্তিশালী বন সুরক্ষা কমিটি হচ্ছে একমাত্র প্রধান অস্ত্র।

নোট: লেখা গণশক্তি থেকে সংগ্রহ।
 

About the author

নরসুন্দা ডটকম

Leave a Comment