হলিউড পাড়ায় কাস্টিং কাউচের অভিযোগ একটি নিয়মিত ঘটনা। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি হলিউড প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইন বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে সোশ্যাল সাইটগুলোতে শুরু হয়েছিল ‘মি টু’ ক্যাম্পেইন’। এই ক্যাম্পেইনে সাড়া দেন হলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীরা। ২০১৮ সালের গোড়ার দিকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডে এই ক্যাম্পেইনকে সমর্থন করে কালো পোশাকে হেঁটেছিলেন তারা।
হলিউড থেকে এর ঢেউ লাগে বলিউডেও। যৌন হেনস্থা নিয়ে মুখ খোলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, রাধিকা আপ্তে, বিদ্যা বালানের মতো অভিনেত্রীরা। তবে তামিল অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি শুধু মুখ খোলাতে আটকে থাকলেন না। কাস্টিং কাউচের প্রতিবাদে রাস্তায় টপলেস হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, শনিবার হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে তেলুগু ফিল্ম চেম্বার অব কর্মাসের বাইরে টপলেস হয়ে কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন দক্ষিণী অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাঁকে ওই চত্বর থেকে সরিয়ে দেয়।
শ্রী রেড্ডির অভিযোগ, তেলুগু ছবিতে কাজ পাওয়ার জন্য নাকি তাঁকে আপত্তিজনক ছবি এবং ভিডিও পাঠাতে বলা হয়। তাঁর কথায়, “আমার মতো তেলুগু অভিনেতারা কেন সুযোগ পাবেন না? দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে তেলুগু অভিনেতাদের ৭৫ শতাংশ সুযোগ পাওয়া উচিত। আমাকে আপত্তিজনক ছবি পাঠাতে বলা হয়েছিল। মেয়েরা কি খেলার পুতুল?” এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, “আমরা শ্রী রেড্ডিকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাতে বলেছি। এখনও পর্যন্ত কারও নামে উনি কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি।”
ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থার বিষয়ে এর আগেও মুখ খুলেছেন শ্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন প্রথম সারির প্রযোজক, পরিচালক এবং অভিনেতাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি যাতে কোনওভাবেই নাম প্রকাশ না করেন সে জন্য নাকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়।
শোনা যায়, শ্রী রেড্ডির এই সব অভিযোগের বিরুদ্ধে দক্ষিণের এক পরিচালক ও অভিনেতা পুলিশের কাছে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবে কোনও কোনও মহল মনে করছেন, তেলুগু ফিল্ম চেম্বার অব কমার্সের সদস্য পদ পাওয়ার জন্যই এ সব করছেন ওই অভিনেত্রী।