।। ডানাভাঙা কাক ।।
আকাশভাঙা বৃষ্টি নেমে এলে
আমি তখন কি-বোর্ড দূরে ফেলে
লিখতে থাকি মনের প্যাডে গান।
হারিয়ে যাওয়া শিশুকালের ডাক
শুনতে পেয়ে বলি— তবু থাক
ফিরবো না। তাই যাচ্ছে ফিরে যান
হাওয়ায়, মেঘে যাচ্ছে বহুদূর।
আকাশ আরও অনেকটা উপুড়
হয়ে শুধায়, এমন কেন তুই?
এই যে তোকে এত্তো করে ছুঁই!
তবু কেন পাই না সাড়া তোর?
মনের ভেতর এ কোন ঘনঘোর!
হাসতে থাকি উদাস হাসি, বাড়ে হাসির জোর
সব সময় যে যায় না ওড়া মন যে আজব চোর!
কেমন করে বলি আমি ডানাভাঙা কাক
আমার না-হয় ভেজার পালা থাকলো দূরে থাক!
।। সাঁটা প্রশ্ন ।।
সড়সড় শব্দ করে হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামে ছাদে।
শুকাতে দেয়া মন ভিজে যায় এক লহমায়, আহা।
ছাতাপড়া মনের দেয়ালে একটা বিভীষণ তেলাপোকা
গতরাতে এঁকে যায় আট-আটটি পায়ের ছাপ।
চুমুর দাগের মতো সেই ছাপচিহ্ন মুছে দিতেই
মনকে তারে ঝোলানো, সেঁটে দেওয়া ক্লিপের ভিতর।
বাতাসের প্রবল তোড়ে গোত্তা খাওয়া মন
যখন বর্ষার মেঘের মতন উড়ে উড়ে যায়
কখনো ঝরে গিয়ে আনে নুহের প্লাবন,
মনের ভুলেও কি তখন এই আমাকে… শুধু…
এই আমাকে ভেবে বর্ষাতে অবগাহন
হয় বা হবে কি? প্রশ্নটা সাঁটা থাক।
আমি তো সাবেকই!