তাইজুলের সামনে এই রেকর্ড গড়ার সুযোগ ছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টেই। সে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নিলেই হয়ে যেত এই রেকর্ড। কিন্তু সেদিন জিম্বাবুইয়ানরা মিরাজের স্পিনে নাকাল হওয়ায় রেকর্ডটি পাওয়া হয়নি তাইজুলের। তবে ঠিক পরের ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই এটি নিজের করে নিলেন তিনি।
আজকে বোলিংয়ের শুরুটা করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। উইকেটে টার্ন ও বাউন্স দেখে পঞ্চম ওভারেই তৃতীয় বোলার তাইজুল ইসলামকে ডেকে নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়ককে হতাশ করেননি ২৬ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার।
ক্যারিবীয় ওপেনার কিরন পাওয়েলকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু আনার পাশাপাশি গড়েছেন নতুন রেকর্ডও। সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের এক বছরে নেয়া ৩৩ উইকেট নেয়ার রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের পক্ষে নির্দিষ্ট বছরে ৩৪টি উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি।
বাংলাদেশের করা ৩২৪ রানের জবাবে শুরু থেকেই নড়বড়ে ব্যাটিং করছিলেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ও কিরন পাওয়েল। বেশ কিছু বাউন্ডারি হাঁকালেও স্পিনের বিপক্ষে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন না তারা। শেষপর্যন্ত ইনিংসের দশম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলের বোলিংয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন পাওয়েল। আউট হওয়ার আগে করেন ১৪ রান।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচের ১০ ইনিংস বোলিং করেই ৩৪ উইকেট শিকার করে ফেলেছেন তাইজুল। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার, দশ উইকেট পেয়েছেন ১ বার।
এর আগে ২০০৩ সালে তিন বার ইনিংসে পাঁচ উইকেটসহ মোট ৩৩টি উইকেট নিয়েছিলেন রফিক। এতদিন ধরে এটিই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড।
তবে বাংলাদেশের পক্ষে এটি রেকর্ড হলেও, বিশ্বরেকর্ডের অনেক দূরেই রয়েছেন তাইজুল। ২০০৫ সালে ১৫ ম্যাচের ৩০ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন নিয়েছিলেন ৯৬টি উইকেট। এটিই বিশ্বরেকর্ড।