সুইজারল্যান্ডে শিং-ওয়ালা গরু বিরল দৃশ্য, কারণ পশু খামারিরা গরু-ছাগলের শিং কেটে দেন।
তাদের যুক্তি তা না হলে, নিজেদের মধ্যে গুঁতোগুঁতি করে অনেক পশু জখমের শিকার হয়। ফলে খামারের আর্থিক ক্ষতি হয়।
এই প্রথা বহুদিন ধরেই সেদেশে চলছে।
এই প্রথা বন্ধের জন্য গত আট বছর ধরে আরমিন কাপোল নামে এক পশু-প্রেমী কৃষক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তার বক্তব্য- পশুর শিং কেটে ফেলা প্রকৃতি বিরুদ্ধ এবং এটা করে অনর্থক পশুকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। পশু অধিকার আন্দোলনকারীরাও বলে থাকেন, শিং দিয়ে পশু তাদের শরীর চুলকায় এবং নিজেদের মধ্য যোগোযোগের কাজে ব্যবহার করে।
দীর্ঘ প্রচারণার পর পশু অধিকার আন্দোলনকারী এবং পরিবেশবাদীদের সমর্থনে তিনি তার প্রস্তাবের পক্ষে এক লাখ সই জোগাড় করে একটি গণভোট আয়োজন করতে সরকারকে বাধ্য করেন।
সুইজারল্যান্ডে জন-গুরুত্বের যুক্তিতে দেশের যে কোনা নাগরিক কোনো প্রস্তাবে কমপক্ষে এক লাখ সই জোগাড় করে গণভোট আয়োজনে সরকারকে চাপ দিতে পারে।
আরমিন কাপোলের প্রস্তাবে অবশ্য শিং কাটা নিষিদ্ধ করার কথা ছিল না। বাস্তব অবস্থার বিবেচনায় তিনি প্রস্তাব করেছিলেন- গরু ছাগলের শিং কেটে ফেলা নিরুৎসাহিত করতে সরকার যেন খামারিদের নগদ অর্থ সহায়তা দেয়।
গণভোটের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৬ শতাংশ, বিপক্ষে ৫৪ শতাংশ।
চূড়ান্ত ফলাফলও যদি একইরকম হয়, তাহলে আরমিন কাপোলের জন্য তা খুবই হতাশার বিষয় হবে।
তবে, সুইজারল্যান্ডের সরকার হাফ ছেড়ে বাঁচবে। কারণ রাজনীতিকরা খামারিদের ওপর শিং কাটার ওপর কোনো বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিতে চাইছিলেন না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।