বরেণ্য চিত্রশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের ৯৮তম জন্মদিন আজ। ১৯২১ সালের এ দিনে কলকাতার শহরতলিতে তার জন্ম।
তাঁর পুরো নাম এএসএম কামরুল হাসান বা আবু শরাফ (শার্ফ) মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তাঁর ডাক নাম ছিল সাতন। বাবা মোহাম্মদ হাশিম এবং মার নাম মোসাম্মৎ আলিয়া খাতুন।
ছোটবেলা থেকেই সফল সংগঠক হিসেবে নিজের প্রতিভার পরিচয় দেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার আঁকা পাকিস্তানি সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানের দানবমূর্তি-সংবলিত পোস্টার ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
আরো পড়তে পারেন..
বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা: সেরা ৩০ সুন্দরীর তালিকায় বাংলাদেশের ঐশী
কামরুল হাসান শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল (১৯৬৫), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৯), বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা (১৯৮৪) পান। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা অঙ্কন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতীকেরও নকশা আঁকেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতীকও আঁকেন তিনি। বাংলাদেশের সংবিধানের কভার ডিজাইনেরও রূপকার কামরুল হাসান।
কামরুল হাসান দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের তথ্যকেন্দ্রের প্রধান শিল্পী এবং শিশু সংগঠন মুকুল ফৌজ ও বিসিক নকশাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায়ও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জাতীয় কবিতা উৎসবের মঞ্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বরেণ্য এ শিল্পী।