আজকের খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে বোলিং করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। তাদের স্পিন ভেলকি কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। বলির পাঁঠা হয়ে একে একে এলেন আর গেলেন। সবশেষ যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন কেমার রোচ। ২১৩ রানে অলআউট হলো অতিথিরা। এতে এক ইনিংস ও ১৮৪ রানে জিতল বাংলাদেশ।
নিজেদের ১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটিই টাইগারদের সবচেয়ে বড় জয়। এসময়ে কখনও ইনিংস ব্যবধানে জেতেনি তারা।এর আগে স্বাগতিকদের বড় জয় ২২৬ রানের। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ ব্যবধানে জেতে তারা। রানের ব্যবধানে উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়টি –সর্বোচ্চ।
১১২টি টেস্ট খেলা হয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে জিতেছেও ১২টিতে। কিন্তু টাইগারদের কপালে একটিও ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সৌভাগ্য জোটেনি। এবার সেই অধরা স্বাদটিও পেয়ে গেলো টাইগাররা।
আরো পড়ুন…
১১১ রানেই গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
এছাড়া বাংলাদেশ ২০১৪ সালের পর টেস্টে সিরিজ জয় করলো। মধ্যে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো গেছে কিন্তু সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি সাকিবরা। এমনকি ক’দিন আগে জিম্বাবুয়েও অপেক্ষা বাড়ায় বাংলাদেশের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালের পর টেস্টে তাদের হোয়াইটওয়াশ করল সাকিব-মিরাজরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ রানের মাথায় উইকেট নেন সাকিব। এরপর ১৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন মিরাজ। পরের ৬ রানের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মিরাজ ৮৫ রানে তাদের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন। এরপর ১৪৩ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে তাদের। ভরসা দিচ্ছিলেন হেটমায়ার। কিন্তু তিনিও ৯৩ রানে ফিরে যান।
বাংলাদেশের সামনে এখন প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জয় পাওয়ার অপেক্ষা। ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ টেস্টে বাংলাদেশের আগের সব বড় রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার। তার জন্য আর ২ উইকেট দরকার সাকিবদের।
আগের দিন ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান তুলে দিন শেষ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিনের সকালেই অলআউট হয়ে যায় তারা। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ প্রথম ইনিংসে একাই তুলে নিয়েছেন সাত উইকেট। বাকি তিনটি উইকেট নিজের করে নেন সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেন হেটমায়ার ও ডউরিচ। তারা যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৭ রান করেন।
এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রান করে। দলের হয়ে মাহমুদল্লাহ ক্যারিয়ার সেরা ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া সাকিব ৮০, সাদমান ৭৬ এবং লিটন দাস খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস।