বারবার চোটের কারনে বিরাট ক্ষতির মুখে নেইমার! কিছুদিন পরপর চোটে না পড়লে হয়তো অনেক কিছুই অর্জন করতে পারতেন তিনি। পিএসজির মূল খেলোয়াড় হয়ে দলটিকে আরও বেশি সাফল্য এনে দিতে পারতেন। ব্রাজিলের হয়ে হয়তো এত দিনে একটা কোপা আমেরিকার মেডেলও ঝুলত গলায়। নিয়মিত চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব থেকে হয়তো বিদায়ও নিতে হতো না পিএসজির। আর এগুলো না হলে ফিফার বর্ষসেরা তালিকায় হয়তো আজ জ্বলজ্বল করত নেইমারের নাম। সেটা হয়নি। এবার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে কে আছেন, কয়েক দিন আগে তার একটা তালিকা দিয়েছে ফিফা। সেখানে শীর্ষ দশেও নেই নেইমার। ফলে, নিশ্চিত হয়ে গেল, টানা দুই বছরের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে শীর্ষ দশ বর্ষসেরা ফুটবলারের মধ্যে একজন হতে পারেননি ব্রাজিলের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা। আরেকটা জিনিসও নিশ্চিত হয়ে গেছে, পিএসজির কাছে তিন মিলিয়ন ইউরোর একটা বোনাস পাচ্ছেন না নেইমার।
এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে আছেন ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ভার্জিল ফন ডাইক, মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, ম্যাথিস ডি লিট, ইডেন হ্যাজার্ড ও হ্যারি কেন। পিএসজির সঙ্গে নেইমারের চুক্তির একটা বিচিত্র শর্ত আবিষ্কার করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস। ফিফার বর্ষসেরা তালিকায় থাকলে পিএসজির কাছ থেকে তিন মিলিয়ন ইউরোর বোনাস পাবেন নেইমার, শর্ত ছিল এটা। যেহেতু তালিকায় নেইমার নেই, সেহেতু পিএসজির তিন মিলিয়ন ইউরো বেঁচে গেল! গত মৌসুমে লিগে ১৫ গোল আর ৮ বার গোল–সহায়তা করেও পিএসজির হয়ে লিগ ছাড়া কিছুই জিততে পারেননি নেইমার। মৌসুমের শেষে মেটাটারসালের চোটে পড়ে কোপা আমেরিকায় খেলার স্বপ্নটাও বিসর্জন দিয়েছেন তিনি।