কবি পরিচিতি: বদরুজ্জামান আলমগীর: নাট্যকার, কবি, অনুবাদক। জন্ম বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চল কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে। পড়াশোনা বাজিতপুরে, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২১ বছর ধরে রয়েছেন দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায়।
আগুন লাগে মেনিয়াপোলিস, লসএঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়ায়- শ্বাস নিতে পারে না, জর্জ ফ্লয়েড শ্বাস নিতে পারে না। শবযাত্রীদের দমবন্ধ লাগে! পানি দাও, পানি দাও- বাউবাব কাণ্ডে জমা ছিল জল; সে-ও নাচে রাস্তায় আগুনের সুষমা- আম্মাগো পানি দাও, ফেটে গেল ছাতিমা।
হাওয়াভরা দুনিয়ায় হাওয়া নিঃশেষ- রক্তে রক্তে গড়িয়ে পড়ে হাওয়ার দানা, গ্যালাক্সির কোটি তারকা ঝরকাবিহীন চোখ- অক্সিজেনের উনতায় ছিটকে পড়া আমাজন খাণ্ডবদাহনে চক্ষুহীন হরিণ।
পকেটে পকেটে জোনাকি জ্বলে- চোখের জলে গুহাচিত্র ঘোরে- ভিসুভিয়াস, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, ডেট্রয়েট, সাইক্লোন, অগ্নিমন্থন, ঘূর্ণিবায়ে ডুবে যায় ফিলাডেলফিয়ার লিবার্টি বেল।
গর্ভে সন্তান বাবা- জানালার পাটে বসা স্মৃতিপোড়া টিয়ার গ্যাস ও নীল এসফল্ট– কালো বিদ্যুৎ আর আদিবাসী দমকা হাওয়া- ওম সর্পগন্ধা, অর্জুন, জলপাই, ওম আমলকি, আকন্দ, বাসক, ঘৃতকুমারীর পাতা। ঘুম ঘুম, বেদের পাতা নিঙরে প্লাস্টিকের ব্যাগে সাত কিলো ঘুম!
কালের দোলানো আংটা – উনিশশো চৌদ্দ, সতেরো, উনচল্লিশ, তোপখানায় বাষট্টি, উনসত্তর, উনিশশো একাত্তর, নব্বই। যতোদূরে যাই- ভালোবেসে মা তুমি আগুন দাও কাকের পাখায়- দুনিয়ার এ-মাথা ও-মাথা উড়তে উড়তে যাই পাখা ভাঙা সুরমা গাঙের চাতক।
পানি কই, পানি কই- যে ছিল আমার আবে জমজম
সে-ই যে কেমন আগুনের বোন হয়ে নাচে!