ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোনালদো নিজের এমন কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ততার কথা নাকচ করেন।
রোনালদো বলেন, ধর্ষণ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, যা রোনালদোর মানসিকতা ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার আগে রোনালদো এনিয়ে আর কথা বলবেন না বলেও জানিয়ে দেন।
রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ক্যাথরিন মায়োরগা, যিনি একজন শিক্ষিকা ছিলেন।
সম্প্রতি ‘মি টু’, নামে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্যাম্পেইনের ফলে তিনি এই অভিযোগ তুলতে আগ্রহী হন বলে জানান তার আইনজীবি, যার নাম লেজলি স্টোভাল।
স্টোভাল বলেন, “মি টু মুভমেন্টে যেসব নারীরা উঠে দাঁড়িয়েছেন তারা ক্যাথরিনকে অনেক সাহস জুগিয়েছে।”
অভিযোগে বলা হয়েছে যে রোনালদো ক্যাথরিন মায়োরগাকে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে ধর্ষণ করেন।
বুধবার মায়োরগার আইনজীবি অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার পর রোনালদো সকল ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি পরিষ্কার অবগত এবং যেকোনো ধরণের তদন্ত হলে তিনি শান্ত থাকবেন।
রোনালদো ২০ দিন সময় পাবেন আইনী উপায়ে এর প্রত্যুত্তর দিতে। অভিযোগকারীর আইনি দল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও প্রাথমিক পুলিশি ও মেডিক্যাল রেকর্ড বের করার চেষ্টায় আছে।
বলা হচ্ছে মিজ মায়োরগা লাস ভেগাস পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ২০০৯ সালেই।
কিন্তু বলা হচ্ছে রোনালদো আদালতের বাইরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেন মায়োরগাকে যাতে তিনি এই ব্যাপারে কোনো অভিযোগ না তোলেন।
লাস ভেগাস পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছে তারা প্রাথমিকভাবে এই অভিযোগের তদন্ত করেছে ২০০৯ সালে, কিন্তু সেবার কোনো প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি।
দার স্পাইজেল নামের একটি ম্যাগাজিনে ধর্ষণের অভিযোগের খবর আসে।
রোনালদোর আইনজীবিরা বলছেন তারা এই ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।