দেশ-বিদেশ

আলোচনায় ‘চরিত্রহীন’

নরসুন্দা ডটকম   অক্টোবর ৩, ২০১৮

দিন তিনেক বয়স দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘চরিত্রহীন’-এর। দেবালয়ের পরিচালনায় মাত্র তিন দিন আগে এই ওয়েব সিরিজের স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে। আর এর মধ্যেই ছক্কা হাঁকিয়েছে গোটা টিম। অন্তত তেমনটাই দাবি করলেন ‘চরিত্রহীন’-এর অন্যতম অভিনেতা সৌরভ দাস।

সৌরভের কথায়, ‘‘চরিত্রহীন হয়ে যা নাম করলাম, চরিত্রবান থেকে এত নাম করতে পারিনি। হা হা..। গত শনি এবং রবিবার ‘চরিত্রহীন’-এর জন্য রেকর্ড সাবস্ক্রিপশন হয়েছে। সেটা সোশ্যালি শেয়ারও করেছি। বেশির ভাগ মানুষ পুরোটা দেখেছেন কিন্তু।’’

‘চরিত্রহীন’ কি সেক্স ওয়েব সিরিজ? 

‘হজম করা কঠিন। চেষ্টা করুন…।’ বক্তব্য অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের।

পড়ে কী মনে হচ্ছে? বড় উদ্ধত এ বক্তব্য? কিন্তু এমন কথা কেন বললেন সায়নী? তাও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কারণ মুক্তি পেল দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘চরিত্রহীন’-এর ট্রেলার। যেখানে যৌনতা এসেছে খুব স্বাভাবিক নিয়মেই। কিন্তু সকলে তা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারবেন তো? সেই ভাবনা থেকেই সায়নীর সোশ্যাল ওয়ালে এই বার্তা বলে মনে করছেন ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ।

দেবালয়ের কথায়, ‘‘দিস ইজ মাই টেক অন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘চরিত্রহীন’। এত বছর ধরে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা রয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে বাংলায় কোনও ছবি হয়নি। আমার মনে হল ওয়েবটাই সঠিক মাধ্যম যেখানে ইন্টারপ্রেট করতে পারব। কিরণময়ী, সরোজিনী, সাবিত্রী, হারাণ— প্রধান চরিত্ররা সকলেই রয়েছে। এদের এই সময়ের প্রেক্ষাপটে খুঁজব।”

সায়নী আগেই বলেছিলেন, ‘‘দেবালয় খুব যত্ন করে, এসথেটিকালি কাজটা করেছে। এটাই ‘চরিত্রহীন’-এর উদ্দেশ্য ছিল যাতে বডি এক্সপোজারের বিষয় যদি গল্পের প্রয়োজনেও আসে তবে সেটা খুব এসথেটিকালি শুট হবে। আমাদের ডিওপি ইন্দ্রনাথও চমৎকার কাজ করেছেন। দর্শক চরিত্রহীন দেখলেই বুঝতে পারবেন, এটা কোনও সেক্স ওয়েব সিরিজ নয়। অযথা যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়নি। দেবালয় এত ভাল ডিরেক্ট করেছে! আমাকে বলত, তুই নিজেকে ভাঙ, বদলা। যেগুলো তোর সিগনেচার সেগুলো একদম বদলে ফেল। আমায় খুব হেল্প করেছে এই কাজটায়।” ‘চরিত্রহীন’ সায়নীর পাশাপাশি সৌরভ দাস, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কিতা চক্রবর্তী, নয়নার অভিনয়ে সমৃদ্ধ।

ট্রেলারেই ওয়েব মাধ্যমে ঝড় তুলেছিল ‘চরিত্রহীন’

‘সেক্স সিন বিদেশে হলে অসাধারণ, আর আমরা করলে খারাপ!’

ট্রেলারেই ওয়েব মাধ্যমে ঝড় তুলেছিল ‘চরিত্রহীন’। যেখানে যৌনতা এসেছে খুব স্বাভাবিক নিয়মে। কিন্তু সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এই বিষয়টি নিয়েও স্পষ্টবাদী সৌরভ। তিনি বললেন, ‘‘এত রেকর্ড হচ্ছে, তার মধ্যেও এক জন দু’জন বলছেন হইচই কোনও একটি পর্ন সাইটের কম্পিটিটার হয়ে গেল। আসলে এই ধরনের সিন বিদেশে হলে সেটা অসাধারণ, আমরা করলে খারাপ, এটা ঠিক নয়। ‘চরিত্রহীন’-এর স্ক্রিপ্টে যেটা ছিল, সেটা অনেক সময় হয়নি। মনে হয়েছে লজিক্যালি যাচ্ছে না, ও রকম সিন হবে না। আবার স্ক্রিপ্টে না থাকলেও ডিমান্ড করলে আমরা করেছি। এসথেটিক্যালি শুট করা হয়েছে। আলটিমেটলি তো প্রেমের গল্প।’’

দেবালয় আগেই বলেছিলেন, ‘‘দিস ইজ মাই টেক অন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘চরিত্রহীন’। এত বছর ধরে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা রয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে বাংলায় তেমন কোনও কাজ হয়নি। আমার মনে হল ওয়েবটাই সঠিক মাধ্যম যেখানে ইন্টারপ্রেট করতে পারব। কিরণময়ী, সরোজিনী, সাবিত্রী, হারান— প্রধান চরিত্ররা সকলেই রয়েছে। এদের এই সময়ের প্রেক্ষাপটে খুঁজব।’’

গোটা সিরিজে সব থেকে বেশি বোল্ড সিনে অভিনয় করেছেন সৌরভ এবং নয়না গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক জড়তা থাকলেও তা কাটিয়ে উঠেছিলেন বলে জানিয়েছেন দু’জনেই। সৌরভের স্পষ্ট দাবি, ‘‘আমরা সেক্স ফ্যাক্টরটা কিন্তু সেল করতে চাইনি। গল্পটা অনেক ওপরে…।’’  সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ।।

আরো পড়ুন..

কেন সুন্দরী নারীদের হত্যার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে ইরাকে ?

তনুশ্রী দত্ত : নানা পাটেকরের থেকে কোনও আইনি নোটিশ পাইনি

About the author

নরসুন্দা ডটকম