সাহিত্য ডেস্কঃ
‘অভিমানী ভালোবাসার গল্প’
–শামীম ফাতেমা মুন্নী
গলির মোড়টাতে চলো গিয়ে বসি,
চাচার দোকানে ছোলাভাজার সাথে চা জমবে ভালো
,কারণে অকারণে আড্ডা চলে সারাদিন!
পাড়ার ছেলেরা বসে চালছে দাবার চাল,
সময় কাটে বেশ টালমাটাল !
স্টেশনচত্বরে ওয়েটিংয়ে বসে ট্রেনের,
রসেভরা জলপাই চাটনী দেখে জিভে আসে জল
তর সয়না তো,নিয়েই ফেললাম কিনে!
ক্লান্ত কোনো দুপুরে অপেক্ষা শেষে হাতে আসে
কাঙ্খিত এক গ্লাস আখের রস,
সিরিয়ালে মনে হয় শেষেই ছিলাম,
আকণ্ঠ তৃ্ষ্ণা মিটিয়ে তৃপ্তির ঢেকুরে তৃপ্ত মন।
যাবে আমার সাথে?
সাইকেলে চড়ে কিছুদূর যেতে হবে যে!
কোথায়?! ঝালমুড়ি খাবো,মজাদার ভীষণ।
প্রিয় সঙ্গী সাইকেলে প্যাডেল মেরে
গোধূলীলগনে গিয়ে বসি প্রিয় নদীর ধারে,
কবিতার ডায়েরী ভরে ওঠে
মায়াবী শব্দের উকিঁঝুকিঁতে!
কুয়াশাভেজা রাতে উন্মুক্ত আকাশের নীচে
থমকে দাঁড়িয়ে কোনো ফুটপাতে,
উৎসুক হয়ে বসে পড়ি ভীড় ঠেলে পাশের টুলে…
ধোয়াঁওঠা সেদ্ধ ডিম,মডার্ন কাট এ চার টুকরো
বিটলবণ সাথে, একের পর এক চালান পেটে!
আলো শেষে রাত নেমে এলে
ফিরে চলি মায়াবী পরিবারে…..।
চড়াই-উৎরাই অনেক দেখেছি জীবনে,
দেখা হলো জীবনের সাদা-কালো অনেক রঙ।
নিজের মনেই বেঁধেছি একতারা
অচেনা অন্যরূপ এক মায়ায় সুরে বাঁধি পৃথিবী।
ভালোবাসো আমায়?? আমি যে এমন!
তবে চলে এসো এই ঠিকানায়………!
ভালোবেসে ভরিয়ে দেবো ভুবন তোমার,
বাসন্তী মেয়ে, জেনো তুমি আমার!
আমার সবুজ চৈতন্যের অনুভবে
এভাবেই তোমার বসবাস প্রতিটি মুহূর্ত,
চিরসবুজ বসন্তের সে গহীন অরণ্যে
ছেলেমানুষি ভরা সমান্তরাল সরলতায়
নতুন এক রুপকথার জন্ম,
মুগ্ধতার মাধুরী মেশানো
এক অভিমানী পরীর ভালোবাসার গল্প!!