গত কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নাসির হোসেন ও সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ফুটবল খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা দেখা গেছে যেখানে খেলার বাইরের, অ-ক্রিকেটীয় কায়দায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নানা রকম ইনজুরিতে পড়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস রায় বলেন, ওয়ার্ম-আপ কোনো খেলা না, এটা একটা প্রস্তুতি। সেক্ষেত্রে এখানে ঝুঁকি নেই। তবে খেলা হিসেবে দেখলে একটা প্রতিযোগিতা চলেই আসে।
তার মতে, ‘ফুটবলের যে নিয়ম গোল দেয়া সেটা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। বরং ব্যাপারটা এমন হওয়া উচিত যে ৩০ সেকেন্ডের বেশি কেউ পায়ে বল রাখবে না।’
দেবাশিস রায় চৌধুরির বলেন, ‘খুব গরমের মধ্যেই চারদিনের ম্যাচ শুরু হচ্ছে। গরম যতটা না ভোগাবে তার চেয়ে বেশি আর্দ্রতা ভোগাবে এই কদিনে। এখানে নিজেকে প্রস্তুত রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
নাসির হোসেন ও মুশফিকুর রহিমের আঘাত নিয়ে তিনি বলেন, নাসিরের ইনজুরিটা বেশ গুরুতর। লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। একটা সময় এসব কারণে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেত। এখন চিকিৎসায় উন্নত প্রযুক্তির কারণে সেই ভয়টা নেই।
“আর মুশফিকের সৌভাগ্যক্রমে বেশি কিছু হয়নি। তবে আরও বড় আঘাতও আসতে পারতো। এখানেই সাবধানতার দায়িত্ব ক্রিকেটারের নিজের। “ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতাও রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট বা বিসিবি সবখানে ক্রিকেটারদের নজরদারি করতে পারবে না।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেন, এটা একটা ‘কমন সেন্সের’ ব্যাপার। এরা সবাই সিনিয়র ক্রিকেটার এটা ওদের বোঝা উচিত। গোল দেয়ার জন্য কিন্তু ওয়ার্ম আপ হয় না। সেটাই মূল বিষয়। এই শিক্ষাটা আগেই দেয়া হয়ে থাকে।
এখন বাংলাদেশে চলছে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট লিগ। সেখানে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার প্রচন্ড গরমে পুরোদিনজুড়ে ক্রিকেট খেলে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টে কষ্টের কথা বলছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বিভিন্ন পর্যায়ে মেন্টরের দায়িত্ব পালন করেন নিয়ামুর রশিদ রাহুল। তার মতে, ক্রিকেটারদের মধ্যে আসলে প্রতিযোগিতা তেমন দেখা যায় না। তবে কখনো কখনো উত্তেজিত হয়ে চার্জ বা ট্যাকল করে ফেলেন অনেকেই।
এটা আটকানো যেমন কঠিন, তেমন ফুটবলের মতো গা-গরমের ভাল কায়দাও খুব কম। তিনি বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের নিয়মিত ওয়ার্ম আপ সেশনের অংশ। সেক্ষেত্রে খেলার ধরণ বদলে দেয়ার উচিত।